জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ হয়েছে। 

[৩] গত বুধবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন থেকে কোস্টগার্ডের স্পিড বোট দিয়ে ফেরার পথে টেকনাফের নাফনদীর মোহনায় পৌঁছালে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়। কমপক্ষে ২০-২৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।

[৪] জানা যায়, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুঁড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

[৫] এসব তথ্য নিশ্চিত করে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সুষ্ঠু সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শেষ করে টেকনাফ ফেরার পথে  মিয়ানমার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। এতে বোটে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিচে শুয়ে পড়েন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একটি টিমও ছিল। তবে সবাই নিরাপদে সুস্থভাবে টেকনাফ পৌঁছেছেন।

[৬] স্পিড বোটে থাকা টেকনাফ নির্বাচন অফিসের ইভিএমের কারিগরি দায়িত্বে থাকা নাজিম উদ্দিন বলেন, যেভাবে আমাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে মহান আল্লাহ সহায়ক প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচন শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফনদীর মোহনায় পৌঁছালে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে আমরা সবাই ভয়ে নিচের দিকে বসে পড়ি। স্পিড বোট দ্রুতগতিতে চালিয়ে সেখানে রক্ষা হয়। সেখানে আমাদের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারাও ছিলেন।

[৭] মিয়ানমার সীমন্ত থেকে গুলি বর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্বাচন শেষে ফেরার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বহনকারী কোস্ট গার্ডের স্পিড বোট লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। তবে কারা গুলি বর্ষণ করেছে, সেটি জানার চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান